মাদক গ্রহণ করার কিছু কারণ
- Edit Column
- Edit Text Editor
# মাদকাসক্তির বড় কারণ হলো মাদকের সহজলভ্যতা।
# বন্ধুদের চাপে পড়ে অনেকে মাদক নিয়ে থাকে।
# বাবা-মায়ের আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির কারণে অনেকে মাদক গ্রহণ করে থাকে।
# অনেকের মাঝে মাদক নিয়ে স্মার্ট হওয়ার প্রবণতা থাকে যা তাকে ঠেলে দেয় মাদকের জগতে।
# মানসিক সমস্যা যেমন: হতাশা, একাকীত্ববোধ, বিষণ্ণতার কারণে এসব থেকে রেহাই পেতে মাদককে বেছে নেয় ।
# এন্টি সোশ্যাল পারসোনালাটি, শৈশবে বিকাশে সমস্যা থাকলেও অনেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে ।
# ভালোবাসার সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ায় মানসিক কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে মাদক গ্রহণ করে
# পারিবারিক কারণেও আপনার সন্তান মাদকে জড়িয়ে পড়ে।
মাদকাসক্ত ব্যাক্তির কিছু শারীরিক ও আচরণগত লক্ষণ
- Edit Text Editor
(১) খাওয়ার প্রবণতা এবং ঘুমের সময়সীমার পরিবর্তন চলে আসলে। ওজন হঠাৎ করে বেড়ে গেলে বা কমে গেলে।
(২) চোখ লাল হয়ে থাকলে এবং চোখের মণি স্বাভাবিকের চেয়ে বড় বা ছোট দেখালে ।
(৩) নাক দিয়ে প্রায়ই রক্ত পড়লে। সাধারণত কোকেইন বা নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণ করতে হয় এমন মাদকের বেলায় এই লক্ষণ দেখা যায়।
(৪) চেহারা এবং পোশাকের পরিধান ও যত্নে অবনতি দেখা দিলে।
(৫) শরীরে এমন কোন ক্ষত বা কাটা ছেড়া দেখা গেলে যা সম্পর্কে তারা জানে না বা কীভাবে আঘাত পেলো তা আপনাকে বলতে না চাইলে।
(৬) তাদের মুখে বা শরীরে বা পোষাকে অদ্ভুত বা অপরিচিত কোন গন্ধ পেলে।
(৭) মাদকাসক্ত ব্যাক্তির চেহারায় কালো ছোপ ছোপ দাগ তৈরি হয় ।
৮) যৌন ক্রিয়ায় অনীহা বা ক্ষমতা হ্রাস পেলে।
(৯) ক্লাস বা অফিসে ঘনঘন যেতে না চাওয়া বা প্রতিষ্ঠানে কোন ঝামেলায় জড়িয়ে পড়া
(১০) কাজে অমনযোগী হলে, ব্যাক্তিগত শখ বা খেলাধুলায় আগ্রহ হারিয়ে ফেললে ।
(১১) তার সহকর্মী, শিক্ষক বা বন্ধুদের কাছ থেকে ঘনঘন নালিশ আসতে থাকলে ।
(১২) বাসায় রাখা টাকার হিসাব না মিললে। কারণ নেশার দ্রব্য কিনতে টাকা লাগে। তাই সাধারণত নেশার দ্রব্যের মুল্য পরিশোধের জন্য আপনার সন্তান টাকা , মুল্যবান সামগ্রী, অলংকার চুরি করতে পারে ।
- Edit Text Editor
(১৩) পড়াশোনার নাম করে ঘনঘন টাকা চাওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেলে ।
(১৪) পরিবাররে সদ্যসদের সাথে ব্যবহারের পরিবর্তন আসলে। সাধারণত মাদকাসক্তির সময়গুলোতে তারা খিটখিটে মেজাজের হয়ে থাকে ।
(১৫)বেশিরভাগ সময়ই একা থাকলে বা প্রাইভেসি সচেতন হয়ে পড়লে। বেশির ভাগ সময়ই রুমের দরজা বন্ধ রাখলে ।
(১৬)অকারণে বিরক্তিবোধ করলে ।
(১৭) অতিরিক্ত মিষ্টি খেতে আরম্ভ করলে ।
(১৮) পুরনো বন্ধুদের পরিবর্তে নতুন নতুন বন্ধু চোখে পড়লে ।
(১৯) ঘরে বা বিছানায় পাউডার জাতীয় জিনিস পাওয়া ।
(২০) প্রায়ই কারো না কারো সাথে মারামারি বা ঝগড়া ইত্যাদিতে জড়িয়ে পড়া।
(২১) সব সময় রুমে এবং শরীরে পারফিউম বা এয়ারফ্রেশনার ব্যবহার করা ।
(২২) চোখের লাল ভাব কাটানোর জন্য ড্রপ ব্যবহার শুরু করলে ।
(২৩) অকারণে রেগে গেলে ।
পরিবারের ভুমিকা
- Edit Column
- Edit Text Editor
মাদক প্রতিরোধে পরিবার ও সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে । পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা শিক্ষা, পরিমিত জীবন যাপন ,বন্ধু নির্বাচন, দায়িত্বশীলতা ইত্যাদি মাদকাসক্তি প্রতিরোধ ও প্রতিকারের পথ।
সন্তান তার পরিবারের পরিবেশ দ্বারা অনেক প্রভাবিত হয়। তাই পারিবারিক পরিবেশ হতে হবে ধূমপান মুক্ত। সন্তানদের কার্যকলাপ ও সঙ্গীদের ব্যাপারে খবর রাখতে হবে। সন্তানরা যেসব জায়গায় যাওয়া আসা করে সে জায়গাগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। সন্তানদের সাথে খোলামেলা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। যাতে তারাই নিজ থেকে তাদের বন্ধুবান্ধব ও কার্যাবলী সম্পরকে আলোচনা করে । ধৈর্য ধরে তাদের সব কথা শুনতে হবে ।পরিবারের সকল সদ্যসদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। সন্তানদের মাঝে নিরাপত্তা বোধ তৈরি করতে হবে। পিতামাতার গুড প্যারেন্টিং বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
মাদকাসক্ত হয়ে গেলে পরিবাররে প্রতিটি সদ্যসকে মাদকাসক্ত ব্যাক্তিকে সেই অবস্থা থেকে বের করে আনার সর্বাত্মক প্রয়াস চালাতে হবে।প্রয়োজনে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।
সন্তান মাদকাসক্ত থেকে সুস্থ্য হয়ে ফিরে আসলে পুনরায় যেন মাদকে জড়িয়ে না পড়ে পিতামাতাকে সর্বদা সচেতন থাকতে হবে।
সন্তানদের জন্য নির্মল পরিবেশ তৈরি করতে হবে ।চিকিৎসকদের সকল পরামর্শ অনুযায়ী সন্তানকে লালন পালন করতে হবে।
প্রত্যেক পিতামতাই চায় তাঁর সন্তানের সুস্থ্য ও সুন্দর জীবন ।সেজন্য পিতামাতাকে বুঝে নিতে তাঁর সন্তানের জন্য কোনটি সঠিক, কোনটি ভুল ।
ভর্তি সংক্রান্ত নিয়মাবলী
- Edit Column
- Edit Text Editor
১) প্রতিজন সদস্য ভর্তির সময় সেন্টার কর্তৃপক্ষের সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে ভর্তি করিতে হবে ।
২) প্রতিজন সদস্যকে নিন্মতম ৪ (চার) মাস চিকিৎসা দিন থাকিতে হইবে ।
৩) পরিবারের লোকেরা ভর্তির এক মাস পর পর সপ্তাহের শনি ও রবিবার দেখা করতে পারবেন ।
৪) সকাল ১১ ঘটিকা থেকে সন্ধ্যা ৫ ঘটিকা পর্যন্ত অভিভাবকরা দেখা বা ছুটি নিতে পারবেন । এরপর কোন ধরনের অনুরোধ গ্রহণ করা যাইবে না ।
- Edit Column
- Edit Text Editor
৫) প্রতি মাসে একবার কমপক্ষে পরিবারের প্রয়োজনীয় সদস্যকে কাউন্সিলিং নিতে হইবে ।
৬) কোন সদস্যকে কৃতপক্ষের পরামর্শ ছাড়া কোন ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কাজে বাহিরে যাইতে দেওয়া হইবে না ।
৭) প্রয়োজনীয় পোশাক বা অতিরিক্ত ঔষধাদি অভিভাবক কে দিতে হইবে ।
৮) সদস্যকে ভর্তির সময় প্রথম মাসের টাকা অগ্রিম দিতে হবে ।